প্রবল শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আছড়ে পড়ে সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের উপকূলে। এই ঘূর্ণিঝড়ে দেশে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগেই কেবল সাতজনের মৃত্যূু হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কন্ট্রোল রুম সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় দুজন, পটুয়াখালীতে দুজন ও পিরোজপুর তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
ভোলা
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে পড়ে রামদাসপুর চ্যানেলে ৩০ যাত্রীসহ একটি ট্রলার ডুবে রফিকুল ইসলাম নামে একজন নিহত হয়েছে। তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম এলাকায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন কুমার শীল জানান, ওই ব্যক্তিসহ ৩০ যাত্রী ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসেন। তারা লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরী ঘাট থেকে ট্রলার যোগে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে ভোলায় আসে। ওই ট্রলার রাজাপুর সুলতানীঘাটের কাছে এলে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই সময় স্রোতের টানে ভেসে যান রফিকুল ইসলাম। পরে তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
এদিকে, চরফ্যাশন উপজেলায় সিদ্দিক ফকির (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এ ছাড়া এক নারী গুরুতর জখম হয়েছেন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর কচ্ছুপিয়া এলাকার রেইনট্রি গাছ ভেঙে মাথায় পড়ে সিদ্দিক ফকির আহত হন। তাকে তাৎক্ষণিক চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। পথেই তার মৃত্যু হয়।
পটুয়াখালী
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে পটুয়াখালীতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে গলাচিপা উপজেলায় রাশেদ (৬) নামে এক শিশু ও কলাপাড়ায় শাহ আলম নামে সিপিপি’র এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ছয় বছরের শিশু রাশেদ মারা গেছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় জনগণকে সচেতন করতে গিয়ে মো. শাহ আলম মীর (৫৫) নামে একজন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে খেয়া পার হওয়ার সময় পানিতে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন। পরে সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পিরোজপুর
সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ এর কারণে পিরোজপুর জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শুরুর পরে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় দুজন এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় একজন মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মোজাহারুল ইসলাম।
নিহতরা হলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের গিলাবাদ গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান মোল্লা (৫৫) ও মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ধুপতি গ্রামে মৃত মুজাহার বেপারীর স্ত্রী গোলেনুর বেগম (৭০) এবং ইন্দুরকানী উপজেলার উমিদপুর এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম (৫০)।
জেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যার পরে মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের গিলাবাদ গ্রামের শাহজাহান মোল্লা শহরের কলেজের পেছনে বাসায় যাওয়ার পথে দেয়াল ভেঙে তার ওপর পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ধুপতি গ্রামের বিধবা গোলেনুর বেগম ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ঝুঁকিপূর্ণ ঘর থেকে পাশের হাসিবুর রহমানের ঘরে যাওয়ার পথে বাতাসের তীব্রতায় পা পিছলে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
অপরদিকে, রাতে জেলার ইন্দু
প্রবল শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আছড়ে পড়ে সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের উপকূলে। এই ঘূর্ণিঝড়ে দেশে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগেই কেবল সাতজনের মৃত্যূু হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কন্ট্রোল রুম সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় দুজন, পটুয়াখালীতে দুজন ও পিরোজপুর তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
ভোলা
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে পড়ে রামদাসপুর চ্যানেলে ৩০ যাত্রীসহ একটি ট্রলার ডুবে রফিকুল ইসলাম নামে একজন নিহত হয়েছে। তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম এলাকায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন কুমার শীল জানান, ওই ব্যক্তিসহ ৩০ যাত্রী ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসেন। তারা লক্ষ্মীপুর জেলার মজুচৌধুরী ঘাট থেকে ট্রলার যোগে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে ভোলায় আসে। ওই ট্রলার রাজাপুর সুলতানীঘাটের কাছে এলে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই সময় স্রোতের টানে ভেসে যান রফিকুল ইসলাম। পরে তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
এদিকে, চরফ্যাশন উপজেলায় সিদ্দিক ফকির (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এ ছাড়া এক নারী গুরুতর জখম হয়েছেন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর কচ্ছুপিয়া এলাকার রেইনট্রি গাছ ভেঙে মাথায় পড়ে সিদ্দিক ফকির আহত হন। তাকে তাৎক্ষণিক চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। পথেই তার মৃত্যু হয়।
পটুয়াখালী
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে পটুয়াখালীতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে গলাচিপা উপজেলায় রাশেদ (৬) নামে এক শিশু ও কলাপাড়ায় শাহ আলম নামে সিপিপি’র এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ছয় বছরের শিশু রাশেদ মারা গেছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় জনগণকে সচেতন করতে গিয়ে মো. শাহ আলম মীর (৫৫) নামে একজন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে খেয়া পার হওয়ার সময় পানিতে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন। পরে সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পিরোজপুর
সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ এর কারণে পিরোজপুর জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শুরুর পরে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় দুজন এবং ইন্দুরকানী উপজেলায় একজন মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মোজাহারুল ইসলাম।
নিহতরা হলেন- মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের গিলাবাদ গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান মোল্লা (৫৫) ও মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ধুপতি গ্রামে মৃত মুজাহার বেপারীর স্ত্রী গোলেনুর বেগম (৭০) এবং ইন্দুরকানী উপজেলার উমিদপুর এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম (৫০)।
জেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যার পরে মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের গিলাবাদ গ্রামের শাহজাহান মোল্লা শহরের কলেজের পেছনে বাসায় যাওয়ার পথে দেয়াল ভেঙে তার ওপর পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ধুপতি গ্রামের বিধবা গোলেনুর বেগম ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ঝুঁকিপূর্ণ ঘর থেকে পাশের হাসিবুর রহমানের ঘরে যাওয়ার পথে বাতাসের তীব্রতায় পা পিছলে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
অপরদিকে, রাতে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার উমিদপুর গ্রামে শাহ আলমের বাড়িতে পানি প্রবেশ করলে ঘরেই আতঙ্কিত হয়ে স্ট্রোক করে তিনি মারা যান।
রকানী উপজেলার উমিদপুর গ্রামে শাহ আলমের বাড়িতে পানি প্রবেশ করলে ঘরেই আতঙ্কিত হয়ে স্ট্রোক করে তিনি মারা যান।